জুন ২২, ২০০৯, সোমবারঃ  আষাঢ় ৮, ১৪১৬

!!মুক্ত চিন্তা!!


রিকন্ডিশন্ড জাপানী গাড়ি ও দেশে গাড়ির হাট

              গত চার বছর ধরে গাড়ির হাট বসছে ঢাকায়। আসাদ গেট কলোনির মাঠ জুড়ে শ দুয়েক গাড়ি ঘিরে চলে ক্রেতা বিক্রেতাদের তুমুল দরদাম। নিত্য প্রয়োজনীয় সদাইয়ের হাট দেখেছি, দেখেছি গরু-ছাগলের হাট, তবে বাংলাদেশে গাড়ির হাট এই প্রথম। আর হাটে আসা গাড়ির এই সংখ্যা অনেক গরু-ছাগলের হাটকেও হার মানায়। এক সময়ে গাড়ি বলতে গ্রামে-গঞ্জের মানুষ গরুর গাড়ি বুঝতো। কালেভদ্রে মটরগাড়ি গাঁয়ে ঢুকলে দল বেঁধে দেখতে যেত সবাই। সেই দেশে এখন মটরগাড়ির হাট বসছে। একটি হাট তখনি বসে, যখন মানুষের প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহে অপ্রতুলতা থাকে এবং তার চাহিদা মেটাতে বিশেষ বিক্রয় কেন্দ্রের প্রয়োজন হয়। সে বিচারে বাংলাদেশে মটরগাড়ি যে এখন বিলাসতা নয় প্রয়োজন এবং তার সরবরাহ যে অপ্রতুল তা এই হাটই বলে দেয়।

              বাংলাদেশে প্রাইভেট গাড়ি বলতে মানুষ রিকন্ডিশন্ড গাড়িই বোঝে। আর দেশের রাস্তাগুলোয় চলা প্রাইভেট গাড়িগুলো দেখে অনায়াসে বলে দেয়া যায়, শতকরা নব্বইভাগ গাড়ি আমদানী করা হয় জাপান থেকে। দেশে ক্রেতা যখন নিজের জন্য গাড়ি কেনার কথা ভাবেন তখন মাথায় থাকে প্রধানতঃ জাপানী গাড়ির কথা। তবে গাড়ি প্রয়োজনীয়তার তালিকায় চলে এলেও দোকানে গিয়ে হুট করে তা কেনার পর্যায়ে কিন্তু এখনো আসেনি । এর জন্য কয়েক বছরের সঞ্চয়, গাড়ি রাখার উপযুক্ত গ্যারেজ, মেইনটেইন করা, নানা বিষয়ে ভাবতে হয়। বাছ বিচার করে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগে। মধ্য আয়ের যে ক্রেতা এবছরের শেষে গাড়ি কিনবেন বলে স্থির করেছেন বলা যায় তার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল গত বছর থেকে। আয় ব্যয়ের হিসাব করে, হয়তো গাড়ির হাটে দরদাম যাচাই করতেও গিয়েছেন। তবে এ বছরের মাঝামাঝি এসে এখন তিনি হঠাৎ উপলদ্ধি করছেন সাধের গাড়িটি কেনা আর সম্ভব নাও হতে পারে! কারণ যে বিষয়টি তার সব হিসাব এলোমেলো করে দিয়েছে তা হলো দেশের বাজেটে এই খাতে বর্ধিত শুল্ককর। সাধের গাড়িটির দাম একলাফে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে চলে গেছে নাগালের বাইরে ।

              দীর্ঘদিন জাপানে বসবাস করারে সুবাদে এদেশে বাজেট প্রস্তাবনা বা তা নিয়ে সংসদে আলোচনা, এসব টিভিতে অনেকবার দেখার সযোগ হয়েছে। তবে বাংলাদেশের বাজেট ঘিরে ব্যবসায়ী মহলের উৎকন্ঠা আরে ক্রেতাদের আতঙ্কের কারণে সৃষ্ট বাজারের অস্থিরতা তেমন দেখিনি। জ্বালানী তেলের দাম দশ ইয়েন বাড়ার অনেক আগেই আমার মতো প্রবাসীরাও বুঝে ফেলেন, না বেড়ে উপায় নেই। অথচ বাংলাদেশের কালচারটা ভিন্ন। বাজেট প্রণয়ন হওয়ার আগেই সেই তথ্য ফাঁস হওয়া এবং তা নিয়ে হৈচৈ দেখে মনে হয়, বাজেট নয় যেন কোন মাহাযুদ্ধের গোপন পরিকল্পনা ফেঁসে গেছে। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর দেশে বাজেট প্রণয়ন হয়তোবা সমার্থক। তবে দেশের বাজেট প্রস্তাবনায় এবারে সত্যিই ফেঁসে গেছেন জাপানের রিকন্ডিশন্ড গাড়ি রপ্তানীতে জড়িত এখানকার প্রবাসী ব্যবসায়ী মহল।

              জাপান প্রবাসীদের এক বিরাট অংশ রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসার সাথে যুক্ত। এখান থেকে বাংলাদেশে গাড়ি পাঠায়, এমন রেজিষ্টার্ড কোম্পানীর সংখ্যা প্রায় দুইশত। শুধু বাংলাদেশে নয়, পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও গাড়ি পাঠিয়ে থাকে এরা। মাসে কয়েকশত গাড়ি রপ্তানী করেন এমন অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন। বৈদেশিক বাণিজ্যের ধারা হলো, দেশ থেকে স্বদেশীরা পন্য আমাদানী বা রপ্তানী করেন, তাঁদের বিজনেস পার্টনার হয়ে থাকেন বিদেশীরা। রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসার ক্ষেত্রটি এর ব্যতিক্রম, কারণ এর দুই প্রান্তেই রয়েছেন বাংলাদেশের মানুষ। পরিবার পরিজন সহ দুই হাজারেরও বেশী প্রবাসী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এ ব্যবসায় জড়িত হয়ে জাপানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তার অর্থ, এই ব্যবসায় মন্দার প্রভাব দেশের বাণিজ্যের উপর যেমন পড়বে, একই ভাবে পড়বে এখান থেকে প্রেরিত রেমিটেন্স এর উপরেও। বর্তমানে আমেরিকার মতো জাপানেও বেকারত্বের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে চলেছে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায়, বিশেষ করে ডলারের মূল্য পড়ে যাওয়ায় এমনিতেই চাপে ছিলেন প্রবাসী রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীরা। এবার বাজেটে প্রস্তাবিত বর্ধিত শুল্ককর বাস্তবায়িত হলে এদের অধিকাংশের পক্ষে টিকে থাকা সম্ভব হবে না বলে জানালেন গাড়ি ব্যবসায়ীদের সমিতি বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধিরা। এখানে এই সংকটের পাশাপাশি বাংলাদেশে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানীকারক ও ডিলারদের সংগঠন বারভিডার সূত্রে জানা গেছে যে প্রস্তাবিত বর্ধিত শুল্ককর বাস্তবায়িত হলে গাড়ি ব্যবসার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে থাকা দেশের একলাখ মানুষের রূটি-রুজিও সংকটের সম্মুখীন হবে।  

              অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন, বিলাসবহুল যানবাহন আমদানি নিরুৎসাহিত করতে প্রস্তাবিত বাজেটে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে মোটরগাড়ির ওপর সম্পূরক শুল্কহার বৃদ্ধি এবং শুল্ককাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। কিন্তু বাজেট বাস্তবায়িত হলে যে সব গাড়ির দাম বাড়বে তার ভিতরে বিলাসবহুল গাড়ি কেবল নয়, রয়েছে অধিকাংশ ফ্যামিলি কার এবং মাইক্রোবাস। যেমন, ২০০৪ সালের টয়োটা করোলা এক্স/জি (১৫০০ সিসি- সিডান) এর শুল্ককর চার লক্ষ সতেরো হাজার টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে আট লক্ষ দশ হাজার টাকা, একই সালের টয়োটা নোহা/ভক্সি (২০০ সিস-মাইক্রবাস) এর শুল্ককর এগারো লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে উনিষ লক্ষ বিশ হাজার টাকা। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে একষট্টি হাজার কোটি টাকার রাজস্ব কর। এর মধ্যে আমদানী শুল্ক হতে আসবে দশ হাজার চার শত একত্রিশ কোটি টাকা। বারভিডা জানাচ্ছে, কেবলমাত্র রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানীর খাত থেকে তারা গত বছরই সরকারকে কর দিয়েছে এর পাঁচ ভাগের এক ভাগ, অর্থাৎ দুই হাজার কোটি টাকা। এবছরে শুল্কহার বৃদ্ধির ফলে সে পরিমান আরো বাড়বে, অঙ্কের হিসাব তাই বলে। প্রশ্ন হচ্ছে, এর ফলে গাড়ির হাটের হাল কি হবে? আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে যদি হাটই না বসে, তা হলে রাজস্ব আয়ের অঙ্কটা শেষ পর্যন্ত শুভঙ্করের ফাঁকিতে পরিণত হবে না তো! বাজেটে আয়ের বিপরীতে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে সমগ্র বাজেটের সাড়ে ছয় শতাংশ, অর্থাৎ আট হাজার আট শত একত্রিশ কোটি টাকা। এই খাতে দেশের রেল, সড়ক এবং সেতুও অন্তর্ভুক্ত। সেক্ষেত্রে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানীকে নিরুৎসাহিত করতে উচ্চ শুল্ককর আরোপ করা হলেও তার বিকল্প উদ্ভাবনে ব্যয় করা হবে সামান্যই।

              জাপানের অনেক প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী ব্যবসায়ী ব্যবসা শুরু করেছিলেন বাংলাদেশে গুটিকয়েক গাড়ি পাঠানো দিয়ে। সেই ব্যবসা দিনে দিনে বেড়ে ওঠায় এরা অনেক ভবিষ্যত পরিকল্পনা করেছেন। যেমন পাঠানোর আগে গাড়িগুলো জাপানে রিকন্ডিশন না করিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে গিয়ে রিকন্ডিশন করানো। তাতে অর্থের সাশ্রয় হতো, দেশের অনেক মানুষের জন্য হতো কর্মসংস্থান। গাড়ির খুঁটিনাটী বিষয় অনুসন্ধান করতে দেখেছি অনেককে। জাপানীদের নিয়ে যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে গাড়ি এসেম্বলী প্লান্ট স্থাপনের আলাপ করেছেন। তবে দেশের সার্বিক অবস্থা, ভূত-ভবিষ্যত চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত অবশ্য দেশের মাটিতে এখনো সাহস করে নামেন নি কেউ। বরং ঝুঁকে পড়ছেন বিশ্বের অন্যান্য দেশে ব্যবসা প্রসারে। এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিন আমেরিকার অনেক দেশে গাড়ি পাঠাচ্ছেন প্রবাসীরা। সু্যোগ পেলে অন্য দেশে এসেম্বলি প্লান্ট স্থাপনের কথাও ভাবছেন। পুজি ও বিনিয়োগের ক্ষমাহীন বাস্তবতায়, দেশপ্রমিক আমাদের এই ছেলেরা এখন স্বদেশের চিন্তা ছেড়ে তৃতীয় দেশ নিয়ে ভাবতে বাধ্য হচ্ছেন।

              কাঁচা মালের সংকট ও প্রযুক্তিগত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এশিয়ার অনেক উন্নয়শীল দেশ কিন্তু ঠিকই গাড়ি তৈরী করছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম নিজস্ব ব্রান্ডের গাড়ি বানাচ্ছে। ভারতের লাখ রুপির গাড়ি ন্যানো বিশ্ববিদিত। এমনকি পাকিস্তানও বানাতে উদ্যোগ নিচ্ছে লাখ রুপির গাড়ি, সিতারা। শুধু বাংলাদেশ পিছনে পড়ে আছে। অথচ জাপান প্রবাসী গাড়ি ব্যবসায়ীদের সাফল্য দেখলে মনে হয়, পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেলে আমাদের দেশেও লাখ টাকার গাড়ি বানানো অসম্ভব ছিল না। আভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি দেশের বাইরে তা বিক্রির কথাও ভাবা যেত। কারণ, সারা বিশ্ব জুড়ে গাড়ি বিক্রয়ের ব্যাপক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন প্রবাসী ব্যবসায়ীরা।

এদিক দিয়ে দেশের নৌপরিবহন শিল্প অনেক এগিয়ে গেছে বলা যায়। সীতাকুন্ডু এলাকায় গড়ে ওঠা বাইশটি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে ভীড়ছে পুরনো জাহাজ। গত অর্থ বছরে এখান থেকে বেরিয়েছে ১০ লাখ টন ইস্পাত। পাশাপাশি দেশে তৈরী আন্তর্জাতিক মানের জাহাজ রপ্তাণী হয়ে বাইরে যাচ্ছে। চট্টগ্রামের ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ ইয়ার্ড, কর্ণফুলী শিপ ইয়ার্ড, নারায়ণগঞ্জের আনন্দ শিপইয়ার্ড আন্তর্জাতিক অর্ডার নিয়ে কুলিয়ে উঠতে পারছেনা। আগামী দুই বছরে জাহাজ নির্মাণ থেকে দেড় বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সম্ভাবনা দেখা গেছে। এবারের বাজেটেও বড় ছাড় দেওয়া হয়েছে এই শিল্পকে। সস্তা শ্রমের দেশে নৌপরিবহন নির্মাণে এই অর্জন সম্ভব হলে, গাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে একই ধরণের অর্জন অসম্ভব কিন্তু নয়। আভ্যন্তরীণ বাজারে গাড়ির চাহিদা বছরে বিশ হাজার ইউনিটের বেশী অথচ দুইশত ইউনিট বের করতে হিমশিম খাচ্ছে গাড়ি এসেম্বলীর একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্লান্ট প্রগতি। তাও সেই অর্ডারের সিংহ ভাগ আসছে মালয়েশিয়া থেকে। বিশ্বের এক নম্বর গাড়ি নির্মাতা জেনারেল মটরস দেউলিয়াত্ব ঘোষণা করার পর, এই শিল্পে শীর্ষে অবস্থান করছে টয়োটা। কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে অন্যান্য জাপানী কোম্পানী যেমন হন্ডা, নিছান, মাজদা, মিৎসুবিশি। এদের সাথে আমাদের সম্পর্ক কি শুধু রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানীতেই সীমাবদ্ধ থেকে যাবে? বাংলাদেশে জাপানী গাড়ির এসেম্বলী প্লান্ট নির্মাণে সরকারী উদ্যোগের পাশাপাশি এখানকার প্রবাসী ব্যবসায়ীরাও কিন্তু অবদান রাখতে পারেন। জাপান প্রবাসী গাড়ি ব্যবসায়ীদের সাথে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি আরো ক্ষতিয়ে দেখতে পারেন।

              রিকন্ডিশন্ড গাড়ীর দাম শুধু বাংলাদেশে নয়, বাড়ছে অন্যান্য দেশেও। জাপানী গাড়ির বিশাল চাহিদা রয়েছে রাশিয়ায় যদিও সে চাহিদা এখন অনেকটা স্তিমিত অধিক শুল্ককর আরোপের ফলে। তবে তাদের কর আরোপের কারণ কৃচ্ছতা সাধন নয়, দেশী গাড়ি বেশী বাজারজাত করা পাশাপাশি জাপানী গাড়ি কোম্পানীগুলির এসেম্বলি প্লান্ট সে দেশে স্থাপনে উৎসাহিত করা। করবৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের দেশেও এ ধরণের জোরালো পটভূমি প্রয়োজন। দেশে প্রকট পরিবহন সমস্যা রয়েছে, তার জন্য অধিক যানবাহন অপরিহার্য। গাড়ি বাড়ার ফলে সৃষ্ট যানজটের সঠিক সমাধান হচ্ছে রাস্তা বাড়ানো, গাড়ি কমানো নয়। দেশে গাড়ির হাট বসছে অথচ তা চালানোর পর্যাপ্ত রাস্তা নেই, অন্যদিকে এশিয়ান হাইওয়ের সাথে দেশকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, এ বিষয়গুলি পরষ্পরের সাথে সমন্বিত হওয়া প্রয়োজন। ক্রেতাকে নিরুৎসাহিত করতে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে হাট ভেঙ্গে দেওয়া নয়, বরং সারা দেশে যাতে হাট আরো বিস্তৃত হয় সেটাই মুক্ত অর্থনীতির লক্ষ্য হওয়া উচিৎ। ইতিমধ্যে অবশ্য রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানীর উপর প্রস্তাবিত বর্ধিত শুল্ককর পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। আমাদের প্রত্যাশা শুধু পুনর্বিবেচনা নয়, এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের দিন বদলের সাহসী অঙ্গীকার যেন আরো স্পষ্ট ভাবে ফুটে ওঠে।  

                                                                                                                       ডঃ শেখ আলীমুজ্জামান
                                                                                                                       জাপান প্রবাসী চিকিৎসক ও লেখক