দিগ্বিজয়ী গ্রীক বীর আলেকজান্ডার ভারতবর্ষ বিজয়ের পর
নাকি তার সেনাপতিকে বলেছিলেন, সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ!
আলেকজান্ডার ভারতবর্ষের শিব লিঙ্গ পূজা দেখেছিলেন কিনা জানা যায়নি,
তবে তিনি যদি জাপানে আসতেন তাহলে এ দেশ সম্পর্কে সেলুকাসকে কি
বলতেন, তা গবেষণার বিষয় হতে পারে। জাপানের সবচেয়ে বিস্ময়কর দিক হলো
এর বৈচিত্র। যেমন, খাদ্যাভ্যাসে কাঁচা থেকে পোড়া, সব ধরণের মাছই
রয়েছে মেন্যুতে। তেমনি, সংস্কৃতি চর্চ্চায় প্রচন্ড রক্ষনশীলতার
পাশাপাশি রয়েছে অবারিত উন্মোচন। এর ফলে, কোনটা শালীন আর কোনটা
অশালীন, তা নির্ধারণ করতে অনেক সময় সুপ্রীম কোর্ট পর্যন্ত দৌঁড়ানোর
প্রয়োজন পড়েছে।
প্রতিবছর বসন্ত কালে কানাগাওয়া কেন এর কাওয়াসাকিতে
অবস্থিত কানামারা মন্দির
(ওয়াকামিয়া হাচিমাঙ্গু মন্দির) প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে
কানামারা মাৎসুরি (লৌহ-লিঙ্গ
মেলা)। মূলত এটি একটি শিন্তো
ধর্মীয় উৎসব, যার মাধ্যমে প্রজনন শক্তি বৃদ্ধির জন্য বন্দনা
করা হয়। এদো যুগে
(১৬০৩-১৮৬৭), বারবণিতারা যৌণ ব্যাধি সিফিলিস থেকে
রক্ষা পাবার জন্য, ঘটা করে এই
মেলা উদযাপন করতো। বর্তমানে, মরণব্যাধি
এইডস প্রতিরোধ কার্যক্রমে, ফান্ড রেইজিং ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে
আয়োজিত হচ্ছে এই
মেলা। উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, বর্তমানে প্রচন্ড
জনপ্রিয়তা লাভ করেছে
মেলাটি। শুধু জাপান নয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও
আলোচিত
হচ্ছে কানামারা মাৎসুরি।
২০০৮ সালের ৬ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হলো কানামারা
মাৎসুরি।
মেলার দিন মন্দির প্রাঙ্গণে তিল ধারণের স্থান পর্যন্ত ছিলোনা।
বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মের উপস্থিতি ছিলো লক্ষণীয়।
![]() |
![]() |
![]() |
![]() |